এপেনডিসাইটিস: কারন, লক্ষন, প্রতিকার

Saturday, April 28, 2012 1 comments

হঠাৎ করেই আপনার বাসার কারো প্রচন্ড পেটব্যাথা শুরু হল। আস্তে আস্তে ব্যাথা বেড়ে প্রথমে নাভির চারপাশ থেকে পরে তলপেটের একটু ডান দিকে গিয়ে স্থির হল। আপনি তাকে নিয়ে জলদি ডাক্তারের কাছে গেলেন, ডাক্তার বলল আপনার পেসেন্টের এপেন্ডিসাইটিস, আজকের মধ্যেই সার্জারি করতে হবে।

কি এই এপেনডিসাইটিস (Appendicitis) ?

আমাদের বৃহদন্ত্র নলের ফাঁপা। বৃহদন্থের তিনটি অংশের মধ্যে প্রথম অংশ হচ্ছে সিকাম। এই সিকামের সাথে ছোট একটি আঙ্গুলের মত দেখতে প্রবৃদ্ধি হল এপেনডিক্স। কোন কারনে যদি এর মধ্যে পাঁচিত খাদ্য, মল বা কৃমি ঢুকে যায়, তাহলে রক্ত ও পুষ্টির অভাব দেখা দেয়। নানান জীবানুর আক্রমনে এপেনডিক্সের ঐ অংশে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। একেই এপেনডিসাইটিস বলে।
অন্ত্রে এপেনডিক্সের অবস্থান

লক্ষন/উপসর্গ:

 পেট ব্যাথাঃ প্রথমে নাভির চারপাশ থেকে পরে তলপেটের একটু ডান দিকে গিয়ে স্থির হয়। সময়ের সাথে ব্যাথার পরিমান বাড়ে।
রোগির তলপেটে হাত দিলেই ব্যাথা অনুভূত হয়, শক্ত অনুভূত হয়।
 বমিঃ বার বার বমি ভাব হয়, বমি হতে পারে।
 জ্বরঃ রোগির দেহে জ্বর আসতে পারে।
যদি এপেনডিক্স ফেটে যায় তাহলে হঠাৎ ব্যাথা কমে গিয়ে ভাল লাগতে থাকবে, কিন্তু তখন ফ্লুইড পেটের ভেতরে অন্যান্য ফাঁকা স্থানে(abdominal cavity) ছড়িয়ে পড়ে অবস্থা আগের থেকে খারাপ হয়ে যাবে।

অন্ত্রে এপেনডিক্সের এভাবে ইনফ্লামেশন হয়

জটিলতা:

 গ্যাংগ্রিন বা পঁচন ধরা
 অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া
 পেরিটোনাইটিস
 শক
 এপেনডিকুলার লাম্প
 মৃত্যু

চিকিৎসা:

২৪ ঘন্টার মধ্যে সার্জারি করে এপেনডিক্স অপসারন বা এপেনডেকটমি।

তবে যদি সার্জারির সুযোগ ওই মুহূর্তে না থাকে তাহলেঃ

1. মুখে কিছু না খাওয়া
2. রাইলস টিউব দেয়া
3. সাকশন দেয়া
4. ব্যাথা নাশক ও সিডেশন দেয়া
5. এন্টিবায়োটিক দেয়া
6. বাওয়েল সচল রাখার ব্যবস্থা করা

টিকাঃ

যেহেতু সার্জারিতে এপেনডিক্স কেটে ফেলে দেয়া হয়, তাই পুনরায় এপেনডিসাইটিস হবার কোন সম্ভাবনা নেই। :P

ডিসক্লেইমারঃ

লেখার উদ্দেশ্য কোন প্রকার চিকিৎসা নয়, শুধুমাত্র জ্ঞানার্জন। কোন ভাবেই এই লেখাকে প্রেসক্রিপসন বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবেনা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া যেকোন প্রেসক্রিপসন আইনত দন্ডনীয়।

1 comments:

Post a Comment

কমেন্ট করুন আর নতুন নতুন পোস্ট দিতে আমাকে উৎসাহিত করুন

 

©Copyright 2012 দিহান | TNB